লজিকের ব্যাপারে ইবনু তাইমিয়্যা ও দেকার্ত এবং ৪টি শিক্ষা

Arman Firman
1 min readJul 18, 2021

১৪শ শতকে ইবনু তাইমিয়্যাঃ লজিক (ভাষাগত যুক্তি) থেকে নতুন কোন তথ্য আসে না। যা জানা আছে কেবল তা-ই পাওয়া যায়

১৭শ শতকে দেকার্তঃ লজিকের ব্যাপারে আর কি বলার, এর সিলোজিস্ম ও অন্যান্য যত পদ্ধতি আছে, সব কেবল এমন তথ্যই নিয়ে আসে যা জানা আছে; এর দ্বারা নতুন কিছু আসে না

এখান থেকে আমরা চারটা জিনিস বুঝি:

১) অনেক অ্যাকাডেমিক (জিয়াই, ফাখরি, মিহিরিগ) যেমন ইবনু তাইমিয়্যাকে গোয়ার হিসেবে দেখেন, তিনি সেটা না*

২) মুসলিমরা ইউরোপীয়দের থেকে অনেক এগিয়ে ছিল

৩) ১৩শ শতকের মুসলিম বিশ্বে যা জ্ঞানচর্চা হচ্ছিল, ১৭শ শতকের ইউরোপে একইরকম জ্ঞানচর্চা হচ্ছিল। অর্থাৎ উভয় জায়গার ইন্টেলেকচুয়ালরা একই পথ পরিভ্রমণ করেছেন

৪) দেকার্ত ধার্মিক ছিলেন, তবে ধর্মীয় পন্ডিত না। অন্যদিকে ইবনু তাইমিয়্যা ইসলামের ইতিহাসের সবচেয়ে সেরা আলিমদের একজন। খৃষ্টবিশ্বে বৃহত্তর অর্থে সেক্যুলার মানুষরা যেমন জ্ঞানচর্চা করতো, মুসলিম বিশ্বের ক্ষেত্রে ধর্মের মানুষরা সেই জ্ঞানচর্চা করতো।

— — -

নোটঃ দেকার্ত দিয়ে ইবনু তাইমিয়্যা কে জাজ করা হচ্ছে না। দেকার্ত ইনফ্যালিবল কেউ না। তবে সাধারণ ভাবে সকলেই দেকার্ত কে সায়েন্টিফিক রেভ্যোলুশনের পথিকৃৎ হিসেবে দেখা হয়; অন্যদিকে ইবনু তাইমিয়্যাকে মুসলিম বিশ্বে বিজ্ঞানচর্চার পতনের কারণ হিসেবে দেখা হয়। নির্দিষ্ট ঘরানার মানুষদের বুঝানোর জন্য তুলোনাটা করে হয়েছে। একই রকম উদাহরণ পাবেন এই লেখায়।

--

--

Arman Firman

I focus on History of Science, Philosophy and Theology and its relationship with Islam. I also write on Western Study of Islam and Orientalism.